Logo
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে শিক্ষিকা রোজিনা হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ফলো আপ : জোড়া খুনের প্রধান আসামী মাসুক আটক কমলগঞ্জে ‘বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে মারলেন চাচা উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত কমলগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক ।। জনদূর্ভোগ চরমে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদযাপন। টানা বৃষ্টিতে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশংকা ! ফলো আপ : শিক্ষিকা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার -৪ ।। খুনী সাগর এখনও ধরা পড়েনি লাউয়াছড়ায় গাছের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল কালনী এক্সপ্রেস সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে পুশইন কমলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার-৩ গুড নেইবারস বাংলাদেশ এর বিশেষ হেলথ ক্যাম্পেইন সাইকেল পেয়ে খুশী চা বাগানের শিক্ষার্থীরা কমলগঞ্জে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা একটু বৃষ্টিতে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা ৪৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ জনবল সংকটে কমলগঞ্জে ৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাত্রদল নেতা আতিকুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা

উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত কমলগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক ।। জনদূর্ভোগ চরমে

রিপোটার : / ১৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের যোগীবিল, চেরারপার, লাংলিয়া, শিবপুর নাথপাড়া গ্রাম ও আলীনগর চা-বাগান বস্তি এবং তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে প্রায় ৭ থেকে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামবাসীর ভোগান্তির কারণ দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা সড়কটি গ্রামবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সড়কের উন্নয়নে সুদৃষ্টি দেয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, পর্যায়ক্রমে সড়ক পাকাকরণের কাজ করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের কনুবাবুর বাড়ি হতে লাংলিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র পর্যন্ত ও রাস্তার মধ্যেবর্তী থেকে আদমপুর বাজার এর প্রধান সড়ক পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা যেন উন্নয়নের আলো থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। গ্রামের দুই কিলোমিটার আঁকাবাঁকা সড়কটির বেহাল দশা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে হাঁটুসমান কাঁদা ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। আবার কোথাও কোথাও বর্ষার পানিতে মাটি ধুয়ে চলে গেছে সড়কের পাশের পুকুর ও ডোবায়। যাতায়াতের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় গ্রামবাসীরা এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল।

গ্রামবাসীরা জানায়, এ সড়কে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। একটু বৃষ্টিতেই সড়কটি কাঁদা-পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। হেঁটে চলতেও ভোগান্তির শিকার হন বয়োবৃদ্ধ ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। জরুরি রোগী পরিবহন, উৎপাদিত শাক-সবজি পরিবহনে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শুধু তাই নয়, অন্য গ্রাম বা শহর থেকে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখতে আসলে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রাস্তার বেহাল দশা দেখে বিয়ে ভেঙে দিয়ে চলে যায়। সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে হাত-মাজা ভাঙাসহ গাড়ির চাকা ভাঙার মতো ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ সড়কে কোনো কাজ হতে দেখিনি। ফলে কাঁচা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

মরিয়ম বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, আমার ছেলে ইজিবাইক চালায়। ইজিবাইক নিয়ে এ পথে ঢোকার সময় চাকা ভেঙে গেছে। গাড়ি বিকল হয়ে বাড়িতে পড়ে আছে। আমরা গরিব মানুষ, গাড়ি চালাতে না পারলে খাব কী?

সাইদুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, এর আগে অনেক জনপ্রতিনিধি গ্রামে এসেছে। রাস্তা পাকা করার আশ্বাস দিয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামবাসী শুধু মাপামাপিই দেখে গেল, সড়ক পাকা হতে আর দেখতে পেল না। কোনো জনপ্রতিনিধির এখানে সুদৃষ্টি পড়ে না। এ গ্রামে কোনো রোগী অসুস্থ হলে তাকে আড়কোলে করে পাকা রাস্তায় উঠিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে হয়। এ রাস্তায় ভ্যানও ঢোকে না। সাইকেল-মোটরসাইকেল চালাতে গেলেও অনেক সময় কাঁদার মধ্যে পড়তে হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করতে পারে না। অনেকে স্কুলেও যেতে চায় না সড়কের বহাল দশার জন্য।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed