কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।
কমলগঞ্জে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এতে কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধলাই নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করে বন্যার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী।
শনিবার ৩১ মে সরেজমিনে কমলগঞ্জের ধলাই নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীটি আঁকাবাঁকা প্রবাহিত হওয়ায়
ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা এলাকা দিয়ে ইসলামপুর, মাধবপুর, আদমপুর, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, কমলগঞ্জ পৌরসভা, মুন্সিবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে দীর্ঘ ৫৭ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মনু নদী মিলিত হয়েছে ধলাই নদী। এর মাঝে অসংখ্য স্থানে আকা বাঁকা হয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব ইউনিয়নের অন্তত ১০টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে চাপের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও বাঁধ ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে কৃষিজমি ও বসতঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তারা আশঙ্কা করছেন, এবারও যদি পানি বাড়তে থাকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পর্যবেক্ষক মো. রাসেল মিয়া জানান, “উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে শুক্রবার রাত থেকে ধলাই নদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনও তা বিপদসীমার নিচেই রয়েছে।”
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডিএম সাদিল আল সাফিন বলেন, “শুক্রবার ভোরে পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে দ্রুত মেরামতকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আপাতত বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে পানি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।”