কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।
কমলগঞ্জে কুরমা, আদমপুর ও কামারছড়া বনবিট নিয়ে রাজকান্দি বনরেঞ্জ গড়ে উঠেছে। এই রেঞ্জে গাছ, বাঁশ, পাহাড়, টিলা, খাসিয়া ও স্থানীয় ভিলেজারদের বসতি রয়েছে। সম্প্রতি রেঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের সাঙ্গাইছাফীসাফী এলাকায় নিরীহ এক ভিলেজারের কাঁচা ঘর উচ্ছেদ, স’মিল থেকে কাঠ জব্দের পর মামলা না হওয়া, স’মিল মালিকদের নোটিশ দিয়ে অফিসে নিয়ে সমঝোতাসহ বন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও মহালের বাঁশ, গাছ পাচার হওয়ার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ঘটছে। ফলে নিরবে, নিভৃতে বিলীন হচ্ছে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের রাজকান্দি বন। স্থানীয়দের অভিযোগে এসব চিত্র বেরিয়ে আসছে।
স্থানীয় ভিলেজার ও বন সংলগ্ন বাসিন্দারা জানান, রাজকান্দি বনরেঞ্জে গাছ, বাঁশে ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন বন ছিল। বর্তমানে বনের সে চিত্র আর নেই। বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নানা কার্যক্রমের ফলে বন ধ্বংস হচ্ছে। বন বিভাগের ভিলেজার বাঙালি ও খাসিয়ারা রয়েছেন। বনের মধ্যে ইটের স্থাপনা তৈরি নিষিদ্ধ থাকলেও খাসিয়া সম্প্রদায়ের বেশকিছু ইটের বসতঘর তৈরি হলেও কোন আপত্তি হয়নি। অথচ চাহিত আর্থিক সুবিধা না দিলে বাঙালি ভিলেজারদের উচ্ছেদ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল কামারছড়া বনবিটের অধীন আদমপুর ইউনিয়নের সাঙ্গাইছাবী এলাকায় নিরীহ এক ভিলেজারের কাঁচা ঘর উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। এই রেঞ্জে প্রশিক্ষণরত সহকারী বন কর্মকর্তা ও রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রীতম বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভিলেজার মৃত আরজান মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বিবির বাঁশের টিনসেড ঘরটি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে নিরীহ ওই মহিলা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তার মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও হারিয়েছেন। অথচ ওই মহিলা বনবিভাগকে অবহিত করেই ঘর তৈরি করেন।