Logo
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে শিক্ষিকা রোজিনা হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ফলো আপ : জোড়া খুনের প্রধান আসামী মাসুক আটক কমলগঞ্জে ‘বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে মারলেন চাচা উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত কমলগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক ।। জনদূর্ভোগ চরমে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদযাপন। টানা বৃষ্টিতে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশংকা ! ফলো আপ : শিক্ষিকা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার -৪ ।। খুনী সাগর এখনও ধরা পড়েনি লাউয়াছড়ায় গাছের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল কালনী এক্সপ্রেস সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে পুশইন কমলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার-৩ গুড নেইবারস বাংলাদেশ এর বিশেষ হেলথ ক্যাম্পেইন সাইকেল পেয়ে খুশী চা বাগানের শিক্ষার্থীরা কমলগঞ্জে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা একটু বৃষ্টিতে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা ৪৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ জনবল সংকটে কমলগঞ্জে ৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাত্রদল নেতা আতিকুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা

টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে চা বাগানগুলো

রিপোটার : / ৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

কমলকন্ঠ ডেস্ক ।।

কমলগঞ্জ উপজেলায় খরায় বিবর্ণ হওয়া চা গাছে দেখা মিলছে নতুন কুঁড়ির। টানা তাপপ্রবাহের পর গত তিন-চার দিনের বৃষ্টিতে নতুন কুঁড়ি ও সবুজ পাতা গজিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রচন্ড তাপে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল বাগানের অধিকাংশ চা গাছ। অনেক স্থানে শুরু হয়েছিল লাল রোগের প্রাদুর্ভাব। চা উৎপাদন শুরুর মৌসুমেই কমলগঞ্জের চা বাগানগুলোতে কমে যায় চা উৎপাদনের গতি। তবে গত কয়েক দিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত বুধবারের তীব্র বৃষ্টিতে বাগান রক্ষায় কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল।এবারও সৌসুমের শুরুতেই খরায় চা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মার্চের শুরু থেকে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে নতুন বছরে চা পাতা চয়ন শুরু হয়েছে। প্রকৃতিনির্ভর একটি কৃষিজ পণ্য চা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চায়ের উৎপাদনও ভালো হয়, এর জন্য প্রয়োজন পরিমিত বৃষ্টি ও সুর্যের কিরণ। প্রায় চার মাস আগ থেকেই চা বাগানের সেকশনগুলোয় চা গাছ ছাঁটাই করার কাজ শুরু করেছিল বাগান কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাইয়ের কারণে চা বাগানে চলে এসেছিল রুক্ষ শুষ্কভাব। চা বাগানের জন্য সহনীয় তাপমাত্রার সীমা পেরিয়ে গেলে বিপত্তিতে পড়েন বাগান-সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টির অভাবে রুক্ষ বাগানে নতুন পাতার দেখা মিলেনি খুব একটা। এর মাঝে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামান্য যা কুঁড়ি-পাতা ছিল তাও আক্রান্ত হতে শুরু করে। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা অনেকটাই খুশি।

ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম শফিকুর রহমান (মুন্না) বলেন, বৃষ্টিতে বাগানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কাংখিত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ভালো ফলনের সম্ভাবনার পাশাপাশি আপাতত বাগান গুলোতে কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অনাবৃষ্টির কারনে ও তীব্র খরায় মৌসুমের শুরুতেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেল, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed